প্রকাশিত: ০১/১০/২০১৬ ৯:১১ পিএম

নুরুল আমিন হেলালী::
পর্যটন নগরী কক্সবাজারের প্রতিটি উপজেলায় বিদ্যুতের জন্য ভুগছে মানুষ। গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। বিদায় নিয়েছে নিয়মতান্ত্রিক বর্ষাও। কিন্তু শরতের মাঝামাঝি এসেও জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রচন্ড গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং। কোথাও কোথাও ২৪ ঘন্টার মধ্যে দুই ঘন্টায় বিদ্যুৎ থাকছে না। এতে শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের জনগন পোহাচ্ছে চরম দূর্ভোগ । লোডশেডিংয়ের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া জনভোগান্তি। অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যুতের অনুপস্থিতির কারনে রান্নায় সমস্যা, লেখাপড়ায় কষ্ট, গরমের কারনে নির্ঘুম রাত কাটানো, হাসপাতালে সেবা দিতে-নিতে কষ্ট, অপারেশনে তৈরী হয় ঝুঁকি। অন্যদিকে অচল হয়ে পড়ছে বিদ্যুৎ নির্ভরশীল ব্যবসা বাণিজ্য। এছাড়া পর্যবসিত হচ্ছে শ্রেণীকক্ষে সরকার কর্তৃক ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের আর্শিবাদের সারথী শিক্ষার্থীদের শ্রেণী উপযোগী ডিজিটাল কন্টেন্ট প্রদর্শিত ক্লাস। তবে লোডশেডিংয়ের কারণ হিসেবে উঠে এসেছে একাধিক বিষয়। জেলায় চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের সরবরাহ কম থাকা। সরবরাহ লাইন খারাপ থাকায় বৃষ্টি বাতাস হলে লাইন বন্ধ করে দেওয়া কিংবা গ্রিডের কারিগরি ত্রুটি বা লাইন পুড়ে যাওয়া ইত্যাদি।

সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁওয়ের স্থানীয় গ্রাহকদের অভিযোগ, ঈদগাঁওবাসী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অধিকাংশ সময় একটানা ২/৩ ঘন্টাও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। সকাল থেকে ঘনঘন লোডশেডিং করার পর বিকেল বেলায় স্বল্প সময়ের জন্য বিদ্যুতের দেখা মিললেও  সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বৃহত্তর ঈদগাঁওয়ের পুরো এলাকা অন্ধকারে ডুবে থাকে। রাত ১১ টার পর বিদ্যুৎ আসলেও আবার চলে যায়। এভাবে রাতে কয়েকবার বিদ্যুতের ভেলকিবাজি সহ্য করতে হচ্ছে গ্রাহকদের। এতে শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের জনগণ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে। সরকারী ও বেসরকারী অফিস আদালতে কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। অচল হয়ে পড়ছে বিদ্যুৎ নির্ভরশীল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ ব্যাপারে এস এস সি পরীক্ষার্থী সুমাইয়া, রাদিকা, ফয়সাল, জয়নাল, আসমাসহ কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, সামনে তাদের নির্বাচনি পরীক্ষা কিন্তু সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি কয়েকবার বিদ্যুত আসা-যাওয়া করার কারনে লেখাপড়া করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এ সময়টাতে অন্তত ২/৩ ঘন্টা নিরবচ্ছিন বিদ্যুৎ পেলে কিছুটা পড়ালেখা করা যেত। ঈদগাঁও বাজারের ব্যবসায়ী নুরুল আবছার, ছৈয়দ করিম ও দর্জি আবু শামা জানান, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে নিজেদের ব্যবসা বাণিজ্য অচল হয়ে পড়ছে। বিদ্যুৎ আসলেও কিছুক্ষণ পর পর আবার চলে যায়। লোডশেডিং নিয়ে খুবই কষ্টে আছি এ অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের ব্যবসা বাণিজ্য অচল হয়ে পড়বে। এ দিকে ঈদগাঁও পল্লী বিদ্যুত এরিয়া অফিসের এজিএম এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কক্সবাজার অফিস থেকে  যে ভাবে বরাদ্দ হয় সেভাবে আপনারা বিদ্যুৎ পেয়ে থাকেন। এ ব্যাপারে আমাদের করার কিছুই নেই। বিদ্যুতের এ নাজুক অবস্থা শুধু সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে নই, পর্যটন শহর, উখিয়া, টেকনাফ, রামু, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, চকরিয়া উপজেলার প্রতিটি এলাকায়ও বিদ্যুতের জন্য ভুগছে মানুষ।

পাঠকের মতামত

বান্দরবানে কেএনএফের আস্তানায় যৌথ বাহিনীর অভিযান, নিহত ৩

বান্দরবানের রুমা উপজেলার রনিন পাড়ার কাছে ডেবাছড়া এলাকায় কেএনএফের একটি আস্তানায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর ...